বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বনগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওই সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান।
নিহত রনি হাওলাদার (১৫) বনগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে। পার্শ্ববর্তী বলাকইড় আজাহার উদ্দিন রাবেয়া সরোয়ার উচচ বিদ্যালয় থেকে এ বছর তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, বনগ্রাম এলাকার সাবেক মেম্বার আজিজুর শেখ ও মাতব্বর নতুন মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি নতুন মোল্লাকে সাবেক মেম্বার আজিজুরের লোকজন মারপিট করে। এর জের ধরে সকালে বনগ্রামের একটি দোকানের বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্রে করে দুই গ্রুপের লোকজন কথা কাটাকাটি হয়।
“এক পর্যায়ে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়ায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ঢিল ছোড়াছুড়ি চলে। আজিজুর শেখের বাড়িতে হামলাও হয়। আজিজুর তখন বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়লে রনি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।”
প্রাইভেট পড়ে ফেরার সময় রনি হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয় বলে তার পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসপি সার্কেল মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন বলেন, বনগ্রামের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে দুপক্ষে মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক ছাত্র মারা গেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
আজিজ মেম্বারের ভাবি বেবি বেগম বলেন, এ ঘটনার পর আজিজ ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধরা তাদের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
নিহত রনির বাবা আনোয়ার হাওলাদার বলেন, “আমার ছেলে রনি প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। আজিজ মেম্বারের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।”